চুলকানির ঘরোয়া চিকিৎসা
চুলকানির ঘরোয়া উপায় কি কি?
চুলকানি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন শুষ্ক ত্বক, অ্যালার্জি, ইনফেকশন, বা কীটপতঙ্গের কামড়। চুলকানি কমানোর জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় নিচে দেওয়া হলো—
### **১. নারকেল তেল**
- শুষ্ক ত্বকের কারণে চুলকানি হলে নারকেল তেল ভালো কাজ করে।
- সরাসরি আক্রান্ত স্থানে লাগান এবং আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন।
### **২. ঠান্ডা পানির সেঁক**
- ঠান্ডা পানি বা বরফ চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- একটি পরিষ্কার কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে রাখুন।
### **৩. অ্যালোভেরা জেল**
- অ্যালোভেরা ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি কমাতে সহায়ক।
- ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
### **৪. বেকিং সোডা**
- বেকিং সোডার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
- ১ চামচ বেকিং সোডা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলকানির জায়গায় লাগান।
### **৫. ওটমিল বাথ**
- কলোইডাল ওটমিল চুলকানি ও জ্বালাপোড়া কমায়।
- গোসলের পানিতে এক কাপ ওটমিল মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট গোসল করুন।
গরমে শরীরের যত্ন কিভাবে নিতে হয়?
### **৬. আপেল সিডার ভিনেগার**
- ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত চুলকানির ক্ষেত্রে কার্যকর।
- এক চামচ ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
### **৭. লেবুর রস**
- প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
- এক টুকরো লেবুর রস চুলকানির জায়গায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
### **৮. তুলসী পাতা**
- তুলসীর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ চুলকানি কমায়।
- কিছু তুলসী পাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
যদি চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
🔥 আরও পড়ুন: বিস্তারিত দেখুন