** বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা ; স্কুলের গন্ডি না পেরিয়েই ৪ হাজার কোটির মালিক আলিয়া**
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রীদের মধ্যে আলিয়া ভাটের নাম শীর্ষে রয়েছে। অভিনয়জগতে পা রাখার পর থেকেই তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন অসাধারণ প্রতিভা ও অভিনয়ের মাধ্যমে। মাত্র ৩১ বছর বয়সেই তিনি ৪,৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, যা তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ক্ষমতাশালী তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
**প্রাথমিক জীবন ও চলচ্চিত্রে অভিষেক**
ফিল্মি পরিবারের সন্তান আলিয়া ভাট। তার বাবা প্রখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট এবং মা জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনি রাজদান। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল তার। ২০১২ সালে প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহরের হাত ধরে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে তার। প্রথম সিনেমাতেই তিনি নজর কাড়েন এবং পরবর্তী সময়ে একাধিক সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেন।
**সাফল্যের পথচলা**
অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি প্রযোজনায়ও সফল হয়েছেন আলিয়া। ‘রাজি’, ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’, ‘গলি বয়’-এর মতো সিনেমায় তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে এবং তাকে বলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রীদের কাতারে পৌঁছে দিয়েছে। শুধু সিনেমায় অভিনয় নয়, তিনি একাধিক ব্যবসারও মালিক, যা তার সম্পদের পরিমাণকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
**ব্যক্তিগত জীবন ও বিতর্ক**
অভিনয় জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহুবার শিরোনামে এসেছেন আলিয়া। অভিনেতা রণবীর কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক এবং পরবর্তী সময়ে তাদের বিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। বিয়ের সাত মাসের মধ্যেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় তাকে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হতে হয়। তবে সেই সব সমালোচনাকে পেছনে ফেলে তিনি তার ক্যারিয়ারে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন।
**শিক্ষা ও সফলতা**
স্কুলের গণ্ডি পুরোপুরি না পেরোলেও আলিয়ার প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমই তাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। তার কাজ, অভিনয় দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার কারণে তিনি বলিউডে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেত্রী এবং ব্যবসায়ী, যার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪,৬০০ কোটি টাকা।
**উপসংহার**
আলিয়া ভাট শুধুমাত্র এক সফল অভিনেত্রী নন, তিনি একজন দক্ষ উদ্যোক্তাও। কঠোর পরিশ্রম, প্রতিভা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে তিনি আজ বলিউডের অন্যতম শীর্ষ তারকাদের মধ্যে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছেন। তার জীবন কাহিনি নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে, যা প্রমাণ করে যে সফলতার জন্য একাডেমিক ডিগ্রির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিশ্রম, ধৈর্য এবং লক্ষ্য অর্জনের প্রতি অবিচল নিষ্ঠা।
আরো পড়ুন |
---|
রমজানে কী খাবার খাওয়া উচিত? – স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা |
গরমের দিনে যেসব ফল থাকা চাই আপনার খাদ্যতালিকায় |
প্রতিদিন একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যেসব উপকার পাবেন |