সচিবালয়ের ছবি
পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে ২২জন সচিব-অতিরিক্ত সচিবের।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে ডিসি ছিলেন তারা
সাবেক সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করা বেশ কয়েকজন সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এর আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে তাদের পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী আরিফুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার ১৯৭৩-এর ৭ (২)(সি) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট বাতিল এবং তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
পাসপোর্ট বাতিলের তালিকায় কারা আছেন?
প্রথম দফায় ২২ জন কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। তারা হলেন:
সাবেক সিনিয়র সচিব: জাকিয়া সুলতানা, আবু হেনা মোরশেদ জামান, কামরুল হাসান
অতিরিক্ত সচিব: হামিদুল হক, মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, ওয়াহিদুল ইসলাম, এসএম আলম, এনামুল হাবিব, শওকত আলী, রাব্বি মিয়া, ফয়েক আহমেদ, উম্মে সালমা তানজিয়া, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ মাসুদ করিম, কামরুন নাহারা সিদ্দিকা, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান, তোফায়েল ইসলাম, আহমেদ কবির, সায়লা ফারজানা এবং তন্ময় দাস।
কোন জেলায় দায়িত্বে ছিলেন তারা?
পাসপোর্ট বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক ডিসির নাম এবং তাদের দায়িত্বকালে সংশ্লিষ্ট জেলার তালিকা:
আহমেদ কবির – জামালপুর
মোখলেসুর রহমান – গোপালগঞ্জ
হামিদুল হক – ঝালকাঠি
ওয়াহিদুল ইসলাম – মাদারীপুর
আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান – মানিকগঞ্জ
সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস – ময়মনসিংহ
রাব্বি মিয়া – নারায়ণগঞ্জ
ফয়েক আহমেদ – বগুড়া
সায়লা ফারজানা – মুন্সীগঞ্জ
উম্মে সালমা তানজিয়া – ফরিদপুর
দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির – গাজীপুর
কেন তাদের পাসপোর্ট বাতিল করা হলো?
জানা গেছে, এই কর্মকর্তাদের অনেককে ইতোমধ্যেই বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে কিংবা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের পাসপোর্ট বাতিল এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
অভিযোগ রয়েছে, এই কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের অনেকেই পুরস্কার হিসেবে দ্রুত পদোন্নতি পেয়েছেন এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
আরো পড়ুন |
---|
রমজানে কী খাবার খাওয়া উচিত? – স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকা |
গরমের দিনে যেসব ফল থাকা চাই আপনার খাদ্যতালিকায় |
প্রতিদিন একটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যেসব উপকার পাবেন |